সাভার প্রতিনিধিঃ আশুলিয়ায় আরাফাত হোসেন (১০) নামের এক মাদরাসাছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুর পর তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে আশুলিয়ার জিরানীবাজার এলাকার কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতাল থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, আশুলিয়ার কবিরপুর এলাকার বাইদগাঁও এলাকার জামিয়াতুল মুজাফফর এতিমখানার পাশ থেকে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে জিরানীবাজার এলাকার বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালে নেয় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।নিহত আরাফাত রাঙ্গামাটি জেলার আজাহার আলীর ছেলে। সে কবিরপুরের বাইদগাঁও এলাকার বাইদগাঁও জামিয়াতুল মাদরাসার আবাসিকে থেকে পড়াশোনা করত।
মাদরাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা খালিদ হোসেন বলেন, ‘আরাফাত প্রতিদিন সকালে মাদরাসার দেয়াল টপকে গুইসাপকে খাবার দিত। আজ সকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আরফাত সকালে খাবার খায়। তবে সকাল ৮টার পর থেকে আরাফাতকে দেখা যায়নি। দুই ঘণ্টা পরও আরাফাতের খোঁজ না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। পরে এক ব্যক্তি এসে দেয়ালের বিপরীত পাশে পড়ে থাকা আরাফাতের খবর দেয়। এ সময় তাকে উদ্ধার করে কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে মাদরাসার দুই-তিনজন আমাদের এখানে আরাফাতকে নিয়ে আসে। তবে হাসপাতালে আসার আগেই আরাফাত মারা যায়। পরে পুলিশকে জানালে বিকেল ৩টার দিকে তার মরদেহ নিয়ে যায়। আরাফাতের মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্ন ছিল।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে৷ তারা রাঙ্গামাটি জেলা থেকে আসছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দেয়াল টপকাতে গিয়ে পড়ে আরাফত মারা যেতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।